"KeiAnn Baby Diaper"
KeiAnnডায়াপার তৈরি হয় একটি পূর্ণস্বয়ংক্রিয় মেশিনে, যেখানে একাধিক স্তরের উপাদান একত্রে জুড়ে একটি আরামদায়ক, শোষণক্ষম এবং শিশুদের ত্বকের জন্য নিরাপদ ডায়াপার তৈরি করা হয়।
"KeiAnn Baby Diaper"
🍼 KeiAnn ডায়াপার – আপনার শিশুর আরামের বিশ্বস্ত সঙ্গী
KeiAnn ডায়াপার আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত উপাদানে তৈরি একটি উচ্চমানের শিশু ডায়াপার, যা শিশুদের কোমল ত্বকের যত্নের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ডায়াপার ব্যবহারে শিশুর ত্বক থাকে শুষ্ক, আরামদায়ক এবং লালচে ভাবমুক্ত।
ডায়াপারটির মূল শোষণ স্তরে রয়েছে Fluff Pulp এবং Super Absorbent Polymer (SAP), যা তরল দ্রুত শোষণ করে ভিতরে আটকে রাখে, ফলে শিশুর ত্বক দীর্ঘ সময় শুকনো থাকে। পাশাপাশি, এর শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য (breathable) নিচের স্তর এবং মসৃণ উপরের স্তর শিশুর গাত্রে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
কেন আমাদের ড্যায়াপার বেছে নেবেন:
১. কাঁচামাল প্রস্তুতি : ডায়াপার তৈরির জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল প্রস্তুত করা হয়। উপরিভাগের জন্য ব্যবহৃত হয় কোমল ও ত্বক-বান্ধব নন-উভেন (non-woven) ফ্যাব্রিক, যা শিশুর গাত্রে আরাম দেয়। শোষণ স্তরে ব্যবহৃত হয় Fluff Pulp (সাদা তুলার মতো কাঠের নির্যাস) এবং SAP (Super Absorbent Polymer), যা তরল দ্রুত শোষণ করে। নিচের স্তরে থাকে জলরোধী পাতলা প্লাস্টিক, যা বাতাস চলাচল করতে দেয় কিন্তু তরল বাইরে যেতে দেয় না। এছাড়াও, ইলাস্টিক উপাদান ব্যবহৃত হয় কোমর ও পায়ের চারপাশে নমনীয় ফিটের জন্য। স্তরগুলোকে একত্রে ধরে রাখতে প্রয়োজন হয় বিশেষ আঠা বা গ্লু। ডায়াপার বন্ধ করার জন্য থাকে Velcro বা টেপ ফাস্টেনার।
২. মেশিনে কাটিং ও লেয়ারিং : উন্নত প্রযুক্তির হাই-স্পিড ডায়াপার মেশিনে একে একে উপরের, মাঝের এবং নিচের স্তরগুলো সাজানো হয়। এরপর কাটার দ্বারা এগুলো নির্দিষ্ট মাপ ও আকৃতিতে কাটা হয়। শিশুর শরীরের গঠন অনুযায়ী ডায়াপারে বাঁক ও আকৃতি তৈরি করা হয় যেন এটি সহজে ফিট হয় এবং আরামদায়ক থাকে।
৩. শোষণ স্তর তৈরি (Absorbent Core) : Fluff pulp ও SAP একত্রে মেশিনে ফেলে একটি শক্তিশালী শোষণ স্তর তৈরি করা হয়। এই স্তরটি প্রস্রাব দ্রুত শোষণ করে এবং তরলকে ছড়িয়ে না দিয়ে এক জায়গায় আটকে রাখে। এর ফলে শিশুর ত্বক থাকে শুষ্ক এবং অস্বস্তি দূর হয়।
৪. লেমিনেশন ও সেলাই : ডায়াপারের উপর, মাঝ এবং নিচের স্তরগুলো একত্রে জুড়ে দেওয়া হয়, যাকে বলা হয় লেমিনেশন। এরপর পায়ের চারপাশে ইলাস্টিক বসানো হয় যাতে ডায়াপার সহজে শরীরের সাথে মিলে যায়। কোমরের দিকে Velcro বা টেপ লাগানো হয় যাতে এটি বারবার খুলে আবার বন্ধ করা যায়।
৫. গুণমান পরীক্ষা (Quality Control) : প্রতিটি ডায়াপার তৈরির পর তা বিভিন্ন গুণগত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। যেমন – শোষণ ক্ষমতা, তরল ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি, কোমরের মাপ, টেকসইতা ও আরামের মান যাচাই করা হয়। যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলে সেই ডায়াপারগুলো বাদ দেওয়া হয়।
৬. প্যাকেজিং :সবশেষে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডায়াপার (যেমন ১০টি, ২০টি বা ৫০টি) একত্রে প্যাক করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ব্র্যান্ডের নাম (যেমন KeiAnn), ডায়াপারের আকার (S, M, L, XL), উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, এবং ব্যবহারের নির্দেশিকা উল্লেখ থাকে। এরপর এই প্যাকেটগুলো বড় কার্টনে ভরে বাজারে পাঠানো হয় বা রপ্তানি করা হয়।
ব্যবহারবিধী:
- ১. ডায়াপার প্রস্তুত করুন :প্যাকেট থেকে একটি নতুন ডায়াপার বের করুন এবং ভালোভাবে খুলে নিন। কোমরের দিকে যেখানে টেপ বা ভেলক্রো থাকে সেটি যেন ওপরে থাকে, তা নিশ্চিত করুন।
২. শিশুকে শুইয়ে দিন : শিশুকে একটি সমতল ও নিরাপদ জায়গায় শুইয়ে দিন (যেমন: ডায়াপারিং ম্যাট বা পরিষ্কার বিছানা)। যদি শিশুর পুরনো ডায়াপার পরা থাকে, সেটি খুলে ফেলুন।
- ৩. পরিষ্কার করুন: ডায়াপার বদলের আগে শিশুর ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। হালকা উষ্ণ পানি ও কটন/ওয়াইপ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিন।
- ৪. নতুন ডায়াপার পরান : পরিষ্কার করার পর নতুন ডায়াপার শিশুর নিচে সঠিকভাবে রাখুন। সামনের দিক কোমরের নিচ পর্যন্ত টানুন, যাতে পুরো অংশ ঢেকে যায়। এরপর ভেলক্রো বা টেপ দুই পাশ থেকে কোমরে আটকে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন খুব ঢিলে বা খুব টাইট না হয়।
- ৫. ফিটিং পরীক্ষা করুন : পায়ের চারপাশে ও কোমরের পাশে ডায়াপার ভালোভাবে বসেছে কিনা দেখুন। কোন ফাঁকা বা ঢিলা অংশ থাকলে ঠিক করুন। এতে লিক বা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
- ৬. ব্যবহৃত ডায়াপার ফেলে দিন : পুরনো, ভেজা ডায়াপারটি রোল করে ভেতরে ঢুকে থাকা মল বা প্রস্রাব আটকে দিন এবং নির্ধারিত বিন বা ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।